মাসুদ আলম: মো. সাহাবুদ্দিনের গুলশানের বাসভবন গ্রিন ভিলার চারপাশে পোশাকধারী পুলিশ ও এসবি সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনী এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সদস্যরাও আছেন। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সোমবার মো. সাহাবুদ্দিনের নাম ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এর একদিন আগেই রোববার রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার নাম চূড়ান্ত হলে সেদিন থেকেই তার ব্যক্তিগত বাসভবনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। 

মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন রাষ্ট্রপতির গুলশান-১ এর ১২৩ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর বাড়িসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা। বাসার নিচতলায় পোশাকধারী পুলিশ, এসবি ও এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সদস্য অবস্থান করছেন। গেটে সুমন নামে একজন নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। অপরিচিত কেউ আসলেই তিনি গেটের ভেতরে দায়িত্বরত মাসুদ নামে একজন পুলিশ সদস্যের কাছে নিয়ে যান। সেখানে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ওই ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা খাতায় এন্ট্রি করা হয়। 

নিরাপত্তাকর্মী সুমন বলেন, স্যার ৬ষ্ঠ তলা বাড়িটির ৫ম তলায় থাকেন। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মানুষ ফুলের তোড়া হাতে ভিড় করছেন। 

বাসাটির পাশে বসেন এক ডাব বিক্রেতা। তিনি জানান, নতুন রাষ্ট্রপতি তার দোকান থেকে ডাব নেন। তিনি খুব ভাল ও মিশুক মানুষ। তাকে খুব আদর করেন। 

গুলশান থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, তিনি সকাল থেকে নিরাপত্তার  দায়িত্ব পালন করছেন। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষও বাড়ির সামনে উৎসুক হয়ে ভিড় জমাচ্ছেন।

সিটিএসবির একজন এসআই বলেন, একেক শিফটে পোশাকধারী ২০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সদস্যও রয়েছে। সোমবার স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) একজন কর্মকর্তা এসে  কথা বলে গেছেন। 

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহানুর রহমান বলেন, নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তায় ৪০ জনের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপি কন্ট্রোল রুম ও পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম)  থেকে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। গুলশান বিভাগের ডিসির নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হচ্ছে। দুটি ভাগে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব